কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চকরিয়ার খুটাখালীর নয়াপাড়ায় ডাকাত-পুলিশ রাতভর গুলি পাল্টা গুলির ঘটনা ঘটেছে। বৃহ:পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় এ ঘটনার শুরু হলে ও শেষ হয় আজ ভোর রাত ৪টায়। এ সময় দফায় দফায় ডাকাতের হামলায় ৭ ব্যক্তি আহত হয়েছে। প্রথম ঘটনায় পুলিশ পিছু হটলেও পরে অভিযান চালিয়ে ডাকাত সর্দার জসিম(৪০) কে আটক করে মালামাল উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ।
জানাযায়,কক্সবাজার সদরের ঈদগাহ দরগাহ পাড়ার তরুন মল্লিকের পুত্র খামারী বাবুল মল্লিক ও অপর ২ব্যক্তি পটিয়া বাজার থেকে ৫৫ হাজার টাকায় উন্নত জাতের একটি ছাগল কিনে মিনি পিকআপ করে বাড়ী ফিরছিল । সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চকরিয়ার খুটাখালীর নয়াপাড়ায় ডাকাত জসিমের বাড়ীর সামনে পৌছলে জসিম ও ৪/৫ জন ডাকাত গাড়ীটি থামিয়ে বলে এটি চুরাই ছাগল। এই বলে গাড়ীর লোকজনকে এলোপাথাড়ি মারধর করে টাকা ও মোবাইল কেড়ে নিয়ে গাড়ী সহ লুট করে নিয়ে যাবার চেষ্টা চালালে এলাকার লোকজন এগিয়ে এসে বাধা দেন। এতে ডাকাতরা ক্ষিপ্ত হয়ে বন্দুকের বাট দিয়ে সজোরে আঘাত করলে তার মাথা ফেটে যায়, এতে সে অজ্ঞান হলে অন্যান্যরা একটি রিক্সা ভ্যানে করে হাসপাতালে নিয়ে যাবার চেষ্টা করলে ডাকাত জসিম গং ভ্যান চালক সহ অপরাপর ৩/৪ জনকে ও বেধড়ক মারে। ব্যবসায়ী বাবুল মল্লিকের বড় ভাই পশু চিকিৎসক ডা: সঞ্জিব, পশু ডা: আব্দুল মোতালেব, চকরিয়ার সাফারি পার্কের ভেটেরিনারী সার্জন মোস্তাফিজুর রহমান ঘটনায় উপস্থিত হলে তাদের কে ও ব্যাপক মারধর করে ডাকাতরা। রাত ১২ টার দিকে খবর পেয়ে চকরিয়া থানার এসআই আলমগীর ও সুকান্তর নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে যান। পুলিশ যাবার সাথে সাথেই জসিম বাহিনীর আরো লোকজন জড়ো হয়ে বন্দুকের গুলি করতে করতে পুলিশের উপর হামলা চালায়।
পরে ঈদগাঁও ফাঁড়ির পুলিশ এবং ডুলাহাজারা হাইওয়ে পুলিশ একত্রে ধাওয়া করলে রাতভর পুলিশের সাথে গুলি বিনিময় ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলে। প্রত্যক্ষদর্শী সুত্র জানায়, এক পর্যায়ে এসআই আলমগীরের নাম ধরে ডেকে সামনা সামনি জসিম বাহিনীর গুলির মুখে টিকতে না পেরে রাত ৩টার দিকে হাইওয়ে পুলিশ ও ৫/৬ রাউন্ড গুলি চালিয়ে পুলিশ পেছন হটে ভোর ৪টার দিকে চলে আসে।
এ সময় গুরুতর আহত হন খুটাখালী ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওসমান সারোয়ার, পশু ডা: সঞ্জিব, পশু ডা: আব্দুল মোতালেব, চকরিয়ার সাফারি পার্কের ভেটেরিনারী সার্জন মোস্তাফিজুর রহমান, ফকির মোহাম্মদ, ভ্যান চালক কবির আহমদ সহ ৭ জন।
ছাগলের মালিক ঈদগাহ দরগাহ পাড়ার তরুন মল্লিকের পুত্র বাবুল মল্লিক জানান, পটিয়া থেকে ঈদগাঁওমুখি ছাগল ভর্তি গাড়ী লুটকে কেন্দ্র করে ডাকাত- পুলিশ গুলাগুলির এ ঘটনার সুত্র।
ডাকাতরা এসময় ছাগল ভর্তি ম্যজিক গাড়ী, ৪টি মোবাইল সেট, পুলিশের সোর্স মিজানের একটি মোটর সাইকেল সহ ৩০ লক্ষ টাকার মালামাল লুট করে।
পরে আজ শুক্রবার সকালে ২য় দফা অভিযান চালিয়ে ডাকাত জসিমকে পুলিশ আটক করে ছাগল ও গাড়ীসহ মালামাল উদ্ধার করেছে।
ডাকাত জসিম চকরিয়ার খুটাখালী নয়াপাড়ার ছাবের হাজীর ছেলে এবং ওই এলাকার মেম্বার গিয়াস উদ্দিনের ছোট ভাই। তার বিরোদ্ধে ডাকাতি ও পাহাড় কাটা এবং বনমামলা সহ দুই ডজন মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে।
চকরিয়া থানার এসআই আলমগীর ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।
একটি সুত্র জানায়, চকরিয়া থানার এক প্রভাবশালী নেতা তার রক্ষা কবচ হিসাবে কাজ করে যাচ্ছে। তার হাত দিয়ে দখল বেদখলে জড়িত ওই নেতা
পাঠকের মতামত: